
ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, ঢাকা।
ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী (Dr.Khalilur Rahman-الدكتور محمد خليل الرحمن) বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত মুসলিম স্কলার। তিনি একাধারে একজন গবেষক, লেখক, শিক্ষক, ইসলামী আলোচক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি রেডিও ও টেলিভিশনের অনেকগুলো চ্যানেলের পাশাপাশি বিভিন্ন মিডিয়াতে ইসলাম ও জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়ে আলোচনা করে থাকেন। তাঁর লেখা ৩০টি মৌলিক বই ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
১৯৮৬ইং সালে মাদরাসা বোর্ড থেকে মেধা তালিকায় বোর্ড ষ্ট্যান্ড সহকারে কৃতিত্বের সহিত দাখিল পাশ করেন। ১৯৮৭ইং সালে একই মাদরাসা থেকে আলিম এইচএসসি সমমান কৃতিত্বের সহিত প্রথম বিভাগে পাশ করেন। ১৯৯০ইং সালে ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে ফাজিল (বিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯২ইং সালে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে কামিল হাদিস বিভাগে রেকর্ড পরিমাণ নাম্বার পেয়ে বোর্ড ষ্ট্যান্ড সহকারে কামিল পাশ করেন। এবং ২০০৪ইং সালে কামিল ফিক্হ (প্রাইভেট) সম্মিলিত মেধা তালিকায় ফার্ষ্ট ক্লাশ সেকেন্ড স্থান অধিকার করেন। ১৯৯১ইং সাল থেকে ১৯৯৫ইং সাল পর্যন্ত সৌদি আরবস্থ মদীনা আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে ইসলামী আইন বিভাগ থেকে থিসিস সহকারে অনার্স (লিসান্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৮ইং সালে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে মাষ্টার্স (এমএ) ডিগ্রি (সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান) অর্জন করেন। ২০০২ইং সাল থেকে ২০০৮ইং সাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি (পিএইচডি) অর্জন করেন।
১৯৯৬ইং সালের ৩রা ফেব্রুয়ারী খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদরাসায় প্রধান মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। ২০০১ইং সালের তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার টংগী শাখায় প্রধান মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ইং সালে তামিরুল্লাত কামিল মাদরাসা মিরহাজীরবাগ ঢাকায় প্রধান মুফতি হিসেবে যোগদান করেন। [২০০৮ইং সাল থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধীন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদাসায় অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্স চালু হলে তিনি আলকুরআন, আলহাদীস ও দাওয়াহ বিভাগের অধীনে সহযোগি অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সহযোগি অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি দেশ ও বিদেশে নানা ধরনের আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি দেশ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য প্রচেষ্টা জোরদার, ইসলামী মূল্যবোধ ও বিধি-বিধানের ব্যক্তি ও সামাজিক অনুশীলণের নানামুখি প্রচেষ্টা বৃদ্ধি, দেশে শান্তি-শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা অক্ষুন্ন রাখা, দুর্নীতি ও অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মান এবং জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে তৎপরতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে জোরালো ভূমিকা রাখছেন।